সাহিত্যের রাজা হুমায়ূন
-হেলাল হোসেন জোয়ার্দ্দার
নামকরা এ দেশের কলমের যাদুকর
কবিতা উপন্যাস নাটকের কারিগর,
পাঠক টানতে কাছে ছিল যার মহাগুণ,
বাংলা সাহিত্যের নন্দিত হুমায়ূন।
ঐশ্বরিক ক্ষমতা দিয়েছেন বিধি যার
যার কথা রাতদিন খৈ ফোটে চারিধার,
চওষট্টি বছরেও ছিল যে চির তরুণ,
সাহিত্যের বাদশা মহারাজা হুমায়ূন।
সাহিত্য প্রেমিরা একই নামে চিনতো
খুব ভালো ছবি সে অবসরে আঁকতো
যার হাতে ফলতো সোনা রোজ সুনিপুুন,
সেই মহাশিল্পী মহাগুণী হুমায়ূন।
দ্বিগুণ ব্যাথায় নুহাশ নোভা শিলা বিপাসা
নিশাদ এ নিনিতের থেকে গেল পিপাসা
অকালে যে ক্যান্সারে হলো তরতাজা খুন,
সেই ব্যাথাতুুর নাম আমাদের হুমায়ূন।
সারাটি জীবন ধরে করেছেন সে কি ত্যাগ
বলবো কি করে তার মনে ছিল কি বিরাগ
জীবনটা ছিল যার বিষাদের ফালগুন,
বলতে কি পারি তার চিরসুখী হুমায়ূন?
নুহাশ পল্লী তার হলো শেষ ঠিকানা
লিচুগাছ তলাতে অনন্ত বিছানা
বৃক্ষরাজীতে যার ছিল প্রেম শতগুণ,
সেই প্রেমিকের নাম প্রীতিরাজ হুমায়ূন।
নিরাশার আধারে বাজলো না আর বিন
ও মরণ ব্যধিতেই দেহপ্যাণ হলো ক্ষীণ
নিজেরই লেখা গান গাইতো সে গুণগুণ,
দেশের অহংকার গীতিকার হুমায়ূন।
কি যে দাগা পেলো সে মহতীয় ওমনে
তাই বুঝি শাওনকে বাধলো চির বাঁধনে
সেই প্রিয়তমাকে ব্যাথা দিলো নিদারুন,
প্রাণের প্রিয়নাথ শাওনের হুমায়ূন।
বিডি রয়টার্স/এ কে জি